Posts

Showing posts from May, 2022

প্রেসক্রিপশন - চিকিৎসা বাজারের "পণ্য"

  ডা.স্বপন কুমার জানা    সংগঠক,  সোসাইটি ফর সোসাল ফার্মাকোলজি, পশ্চিমবঙ্গ  আমাদের  দেশে  চিকিৎসা  বরাবরই "পণ্য"। তবে ১৯৮৬ সাল থেকে সরকার "ক্রেতা সুরক্ষা আইন" করে  চিকিৎসা পরিষেবাকে আইনী ভাবে  "পণ্য" হিসেবে জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে  । ফলে চিকিৎসা পরিষেবা ক্ষেত্র চিকিৎসা বাজারে পরিণত হয়েছে । দেশের চিকিৎসা বাজার মূলত বেসরকারী । তবে সরকারী ক্ষেত্র থেকে চিকিৎসা বিনামূল্যের বলা হলেও রোগী ও জনসাধারণকে বিভিন্ন ভাবে গাঁটের কড়ি খরচ করতে হয় । এ ধরনের একটি ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চিকিৎসকরা রোগীদের চিকিৎসার  জন্য প্রেসক্রিপশন প্রদান করেন ।       রোগীরা তাঁদের রোগের উপশম, সারানো বা প্রতিরোধের জন্য যে সমস্ত ওষুধ কেনেন তা চিকিৎসকের নির্দেশমত । রোগীরা নিজেদের ওষুধ নিজেরা  পছন্দ করতে পারেন না । সে দক্ষতা রোগীদের নেই । রোগীদের চিকিৎসকের উপর নির্ভর করতে হয় । চিকিৎসকরা রোগীদের হয়ে "ওষুধ পণ্য" নির্বাচন করে দেন । এর জন্য চিকিৎসকদের মানসিক শ্রম করতে হয় । জ্ঞানের প্রয়োগ ঘটাতে হয় ।            প্রেসক্রিপশন হচ্ছে "পণ্য"             মানসিক শ্রমে উৎপাদিত           

যথেচ্ছ টীকাকরণের ফলে লাভ হোলো না ক্ষতি? একটি গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে রিপোর্ট

Image
  ডা:  ভাস্কর চক্রবর্তী আমাদের দেশে কোভিড এর টিকাকরণ শুরু হয়েছে ২০২১ এর জানুয়ারি থেকে। ২রা জুলাই ২০২১, আমরা, কলকাতার কয়েকজন ডাক্তার এক ওয়েব মিটিং-এ মিলিত হই বিশ্ববিখ্যাত মাইক্রোবায়োলজিস্ট ডাঃ সুচরিত ভাকদির সঙ্গে। ২০২১ সালেই এই কোভিড ভ্যাক্সিনপ্রাপ্তদের মধ্যে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান চালিয়ে যে গবেষণাপত্র বেরোয়, সেই সূত্রেই ডাঃ ভাকদি, আমাদের স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে এই ভ্যাক্সিন এর ফলে মানবদেহে বহু রকমের রোগ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যার একটা হোলো রক্ত সম্পর্কিত রোগ আর রক্ত চলাচল ব্যবস্থা সম্পর্কিত রোগ।  ২০২২ সালে এসে, আমাদের কাছে খবর আসতে থাকে যে ক্লিনিক্যাল ডাক্তারেরা তাদের আউটডোরে বা ব্যাক্তিগত ক্লিনিকে এই ধরনের রোগ বেশী পাচ্ছেন। আমরা, জন স্বাস্থ্য মোর্চার থেকে সিদ্ধান্ত নিই, যে আমরা কিছু হাসপাতালে, অনুসন্ধান চালিয়ে দেখবো যে ডাঃ ভাকদির আশংকা, আমাদের আশংকা সত্যি হয়ে উঠল কি না। আহবান রাখা শুরু করি হাসপাতালগুলোতে।  প্রথম যে হাসপাতাল আমাদের ডাকে সাড়া দেয়, সে হোলো উত্তর চব্বিশ পরগনার সরবেড়িয়ায় অবস্থিত সুন্দরবন শ্রমজীবী হাসপাতাল। গত ২রা এপ্রিল, আমরা সেখানে গিয়ে ২০১৯ সাল থেকে ভর্তি থাকা রোগীদের সম্

বিখণ্ডিত সমাজ

—  ডাঃ অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডাঃ স্থবির দাশগুপ্ত [পূর্ব প্রকাশিত — ইন্ডাস্ট্রিয়াল সাইকোলজি। ভলিউম ৩০, সাপ্লিমেন্ট ইস্যু ১, অক্টোবর ২২, ২০২১। গ্রাফ-এর ওয়েবজিনে পরবর্তীকালে পূনঃপ্রকাশিত হয়। প্রবন্ধটির জন্য গ্রাফ-এর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।] ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে নভেল করোনাভাইরাস চিন থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ল। ২০২০ সালের ১১-ই মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাল, অতিমারী শুরু হয়ে গেছে এবং এই ভাইরাসের মারণ ক্ষমতা সাংঘাতিক।(১) মারণ ক্ষমতা নিয়ে তাদের হিসেবটা যে ভুল তা কিছুদিন পরে অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে দিলেন।(২) কিন্তু ততদিনে সংবাদ মাধ্যমের অনিবার প্রচারের ফলে জনমানুষের মনে আতঙ্ক জন্ম নিয়ে ফেলেছে। যারা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের দুর্দশার অন্ত নেই, কেননা ততদিনে এমন ধারণা জনমনে গেড়ে বসেছে যে, ভাইরাস মানেই কলঙ্কবিশেষ।(৩) অথচ ততদিনে একথাও স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, এই ভাইরাস মারাত্মক কিছু না, যারা আক্রান্ত হন তাদের অধিকাংশই অল্প দিনের মধ্যে সেরে ওঠেন; তবে এও ঠিক যে, কখনও কখনও, কারোর কারোর বেলায় অসুখটা মারাত্মক হয়ে যেতে পারে।(৪) ভাইরাসের প্রতি একটা অদ্ভুত দৃষ্টিভঙ্গি সারা পৃথিবীতেই ছড়